প্রতিদিন খেজুর খাওয়া শরীর এর জন্য কতটা জরুরি জেনে নিন
খেজুর মিষ্টি ফল হলেও এর মধ্যে ফাইবার সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালোরি হওয়ায় খেজুর ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে তাই খেজুরের পুষ্টিমান অপরিসীম, কারণ খেজুরে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টি যা শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি হয় না।
খেজুরের সকল পুষ্টি গুণ সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমি সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
ভূমিকা
খেজুরে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম প্রোটিন ফাইবার আইরন বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে, এটি শরীরের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো কাজ করে এবং খেজুর অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই খেজুরের সকল গুনাগুন অপরিসীম নিম্নে তার সকল উপকারিতা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
খেজুরের পুষ্টিগুণ
খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে বলা হয়ে থাকে। কারণ খেজুর অনেক মিষ্টি কিন্তু এতে ফাইবার থাকায় শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়.৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে রয়েছে ৯০ ক্যালরি , ১৩ মিলি প্রোটিন,২.৮ গ্রাম ফাইবার। যা আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের অভাব পূরণ করে ।
কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো হবে
শুকনো খেজুরের মধ্যে মরিয়ম খেজুর ও আজওয়া খেজুর সবচেয়ে বেশি উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ ।
দিনে কয়টি খেজুর খাওয়া যাবে
খেজুর দিনে ৪-৫ টি খাওয়া যাবে, কারণ আমরা সবাই প্রায় জানি খেজুর অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল, এতে অনেক ফাইবার প্রোটিন ক্যালোরি আইরন ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। তাই প্রতিদিন ৪-৫ টি খাওয়া যাবে , তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ করা উচিত এতে করে স্বাস্থ্যেরও কোন ক্ষতি হবে না।
খেজুর খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বাড়াতে চাইলে খাদ্য তালিকায় উচ্চকালোরিযুক্ত খাবার রাখতে হবে।, তার মধ্যে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখলে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হবে।
খেজুর হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
বয়স বাড়ার সাথে সাথে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। এই ঝুঁকি কমাতে খেজুর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেজুরে পটাশিয়াম থাকায় হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, খেজুর শরীরের খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল পরিমাণ কমাই এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
দুধ ও খেজুরের উপকারিতা
দুধ ও খেজুর উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রোটিন, এবং আয়রনের মাত্রা এই দুটিকে একসাথে মিসালে আয়রনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি হয় ।তাই দুধের মধ্যে ২ টি করে খেজুর দিয়ে ফোটালে সেই উপাদানটি অনেক স্বাস্থ্যকর হবে, এবং খাবারটি অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হবে। এত করে শরীরের দুর্বলতা দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, দৃষ্টিশক্তি বাড়াই, এবং শরীরকে শক্তিশালী করে তুলে ।
মরিয়ম খেজুর চেনার উপায়
এই খেজুর যদি কম মিষ্টি হয় তাহলে বুঝবেন ভেজাল আছে, আবার মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি হয় তাহলে বুঝতে হবে এতে কৃত্তিম কোন কিছু যোগ করা হয়েছে। এই খেজুরের স্বাদ খুব বেশি মিষ্টিও না আবার অনেক কম ও না । এই খেজুরের চামড়া একটু কুঁচকানো হবে তবে শক্ত হবে না আবার অনেক বেশি নরম ও হবে না এর ওপরের চামড়া উজ্জ্বল এবং চকচকে।
আজওয়া খেজুর চেনার উপায়
আজওয়া খেজুর নরম শক্ত বা শুকনো নয় উপরের চামড়া বাদামী রঙের। আসল আজুয়া খেজুরে একপাশে সূক্ষ্ম সাদা রেখা রয়েছে।
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে মস্তিষ্ক সচল করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী, ত্বক টানটান করে, খেজুর খুসখুসে কাশি দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।
খেজুরে ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিক্স রোগীদের জন্য খেজুর চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিনি অনেক খারাপ ভাবে ইফেক্ট করে আর ওই জন্য খেজুর তার বিকল্প হিসেবে তারা খেতে পারেন । এতে কোন প্রকার সমস্যা হয় না খেজুরে রয়েছে ফাইবার যার ফলে ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণ থাকে।
লেখক এর মন্তব্য
খেজুর শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। খেজুর থাকা সকল উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ । আশা করি উপরের তথ্যগুলো থেকে জানতে পেরেছেন খেজুর কতটা উপকারী তাই খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখা উচিত বলে মনে করি।
আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন ''''ধন্যবাদ'''
এক্সক্লসিভ এ এস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url