এই গরমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিন

ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তবে গরম কালে একটু বেশি ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় তাই আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অনেক হেল্পফুল হতে চলেছে

বাজারের কোন কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ছাড়াই এই গরমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিন। প্রাচীনকাল থেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্নে অনেক ভালো কাজ করে আসছে । তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু টিপস রয়েছে যা অনেক উপকারী

দিনের বেলা ঘর থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ অনেক সময় রোদের কারণে ত্বকে ছত্রাক ও সংক্রমণ হতে পারে এবং কড়া রোদের কারণে শরীরে চুলকানি ও ঘামাচি হতে পারে। তাই ত্বককে প্রথমেই সান প্রটেক্ট করে নিতে হবে।

একটি পাত্রে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো নিন এবং এর সাথে পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন । এই মিশ্রণটি ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে তারপর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, হলুদ এবং গোলাপ জলে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি যা ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।

স্ক্রাবিং ত্বকের ধরনের ওপর নির্ভর করে এটি সপ্তাহে কতবার করা যাবে। অতিরিক্ত স্ক্রাবিং ত্বকের জন্য ক্ষতি হতে পারে ,ব্যাসনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে মেসেজ করতে পারেন এটি প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্যই বেশ উপকারী ।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এটি ত্বকের ওপর প্রভাব পড়ে যেমন চোখের চারপাশে ফোলা ভাব, চোখের চারপাশের কালো দাগ ,বলি রেখা ও ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই হয়ে থাকে তাই আমাদের ত্বকের জন্য ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।তাই প্রতি রাতে সাত ঘন্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন।

নিম পাতা ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী, নিমপাতা, টক দই কাঁচা হলুদ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে এটা ফেস এ এবং পুরো শরীরেও লাগাতে পারেন। এই প্যাকটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে এটি ত্বককে ভেতর থেকে সুরক্ষা দেয় ।

প্রথমে একটি পাত্রে হালকা কুসুম গরম পানি নিতে হবে ।তারপরে পানিতে একটি লেবুর রস এবং একটি শ্যাম্পু , বেকিং সোডা এক চামচ, অল্প একটু লবণ নিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে তারপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা বা হাত ডুবিয়ে রাখতে হবে।

 তারপর আরো একটি লেবু এবং চিনি দিয়ে স্ক্রাব করতে হবে এতে করে মৃত কোষ গুলো দূর হবে। তারপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করা যাবে এর ফলে রোদে পোড়া দাগ এবং হাত ও পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বকে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং এর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। ত্বক ভালো রাখতে এবং সুস্থ থাকতে পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী, গরমে শরীরে সবচেয়ে বেশি পানি শূন্যতা দেখা দেয় এজন্য প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর পানি পান করতে হবে, প্রতিদিন ছয় থেকে আট গ্লাস পানি খেতে হবে

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেস মাস্ক তৈরি করতে যা যা লাগবে , অ্যালোভেরা জেল দুই টেবিল চামচ ,মধু এক টেবিল চামচ ,সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো। সবগুলো উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে তারপর ফেইসে এপ্লাই করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, এরপর নরমাল পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

প্রতিদিনের ব্যবহারের ক্লিনজিং ফেসওয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবং মধু , দুধ, সামান্য পরিমাণ টক দই মিশিয়ে ফেইস এ এলাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন এতে ফেইস ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে।

বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম যেকোনো সমস্যায় যেমন রাতারাতি কাজ করে ঠিক তেমনি এর প্রভাব ও পড়ে এর ফলে স্কিনে অনেক ধরনের রোগ সৃষ্টি হয় যেমন স্কিন ক্যান্সার। তাই আমার মতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়াই ভালো কারণ এতে কোন সাইড ইফেক্ট হয় না।

আমার এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন ''ধন্যবাদ''